স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ী জেলা সদরের নির্মিত ১০০ শয্যার আধুনিকৃত সদর হাসপাতাল। এখানে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করে আড়াই’শ শয্যায় রূপান্তরের একটি প্রস্তাব আজও ঝুলে আছে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। এক সময়ের জরুরি ও বহিঃ বিভাগের রোগীর চিকিৎসা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন একজন মেডিকেল অফিসার ও সহযোগী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ম্যাটসের শিক্ষার্থী। এখন সেই দায়িত্বে তদারকি করছেন ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি (রিপ্রেসেন্টেটিভ)। এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর রিপ্রেসেন্টেটিভের পরিবর্তে ইমারজেন্সি রুমে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা যায় মেডিকেল টেকনিশিয়ান অ্যানেশথেসিয়াকে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে দেখা যায়, হাসপাতালের ইমারজেন্সি রুমে রোগী দেখছেন নাজমুল আলম নামে এক যুবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই যুবক রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান অ্যানেন্থেশিয়া। হাসপাতালে ওই দিনে রোস্টার অনুযায়ী জরুরী রুমের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তামান্না কবির।
রাজবাড়ীর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তামান্না কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। কারণ আমি তো আর এখানে লোক সেট করি নাই। উনি একজন ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উনাকে ইমারজেন্সিতে রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হয়েছিল। আমি উনাকে লিখতে বলেছি, উনি লিখেছেন। উনি নিজ দায়িত্বে প্রেসক্রিপশন করে রোগী দেখতে ছিলেন ব্যাপারটা তা নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে রোগী অভিযোগ করে বলেন, জরুরী ও বহিঃবিভাগে প্রায়শই চিকিৎসক না হয়েও বিভিন্ন ধরনের লোক বসে রোগী দেখেন। প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। হাসপাতালে আমাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফা বলেন, ইমারজেন্সি রুমে ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট’র চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে, আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।