স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীতে আন্তঃজেলা শীর্ষ ডাকাত সর্দার খোরশেদ ওরফে বোমা খোরশেদ (৫৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী হরিণধরা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে। এসময় পুলিশ ডাকাতির লুন্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এবিষয়ে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, গত ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে গত ১৮ ফেব্রæয়ারি রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি থানায় ৪টি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। ঘটনার পরপরই রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীনের সার্বিক দিক নির্দেশনা ও তত্ত¡াবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব, পিপিএম-সেবা এঁর তদারকি ও অভিযান পরিকল্পনায় মামলার ঘটনা তদন্তে ডিবি পুলিশের একটি আভিযানিক টিম মাঠে নামে। মামলা তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪টি ডাকাতি ঘটনায় খোরশেদের নেতৃত্বে তার গ্রæপের সদস্যগণ সংঘটিত করার প্রমান পাওয়া যায়। মামলা গুলোতে ৬জন পেশাদার ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। ইতোমধ্যে ২ জন ডাকাত রাজবাড়ী আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, গত১২ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শিমুল শেখ, এসআই শামিম হাজরা, এসআই হিমাদ্রি হাওলাদার ও সংগীয় ফোর্স ঢাকা জেলার আশুলিয়ার ইসলাম নগর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। বিকেল ৪ টার সময় আন্তঃজেলা শীর্ষ ডাকাত সরদার আসামী মোঃ খোরশেদ ওরফে বোমা খোরশেদকে গ্রেপ্তা করা হয়। তার নিকট থেকে লুন্ঠিত ৪০ হাজার টাকা, ৫ আনা ১ রতি ওজনের ১ জোড়া কানের দুল ও ২ আনা ওজনের ১টি আংটি জব্দ তালিকা মূলে উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের কালিহাতি, রাজবাড়ী সদর থানা, পাবনার ঈশ্বরদী থানা, সুজানগর থানা, রাজবাড়ীর পাংশা থানা, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ৮ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে মামলা গুলোতে কালু হাওলাদার ওরফে কালু ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কালু হাওলাদারের বিরুদ্ধে ৩২ টি মামলা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।