কামাল হোসেন : রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের ১৯ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহম্মেদ এই আদেশ দেন। আসামিরা এদিন সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ী পৌরসভার সজ্জনকান্দা এলাকার মোঃ আব্দুল লতিফের ছেলে যুবলীগ নেতা মো: সাজ্জাদুল কবির তানজিম, মো: নুরুল হকের ছেলে রিয়াজুল হাসান, সদর উপজেলার বড়লক্ষীপুর গ্রামের মো: ইব্রাহিম মÐলের ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম খোকন, কাজীকান্দা গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে রিপন, আওলাদ হোসেন খানের ছেলে নয়ন হোসেন খান, বেড়াডাঙ্গার সোহরাব মিয়ার ছেলে মো: দেলোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দীনের ছেলে শামীম আহমেদ, হোসনাবাদ গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মো: নুরে আলম, বিনোদপুর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দীন আহম্মেদ সুজন, আয়ুব আলী শেখের ছেলে সুমন শেখ, দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার লাল মোহাম্মদ খানের ছেলে মো: জামাল খান, পান্নু সরদারের ছেলে আমিরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদের ছেলে শফিক খান বাবু, আকবর আলীর ছেলে মো: আলহাজ্ব শেখ, রামকান্তপুর গ্রামের মো: নুরুজ্জামানের ছেলে আল ফারহান ফাহিম, মো: করিম মোল্লার ছেলে মো: শাহিন মোল্লা, চরল²ীপুর গ্রামের আশরাফুল আলম খানের ছেলে অনিক হাসান খান, মো: আব্দুর গফুর খানের ছেলে মো: হাসেম খান এবং বানীবহ ইউনিয়ন এর মো: আজহার মিয়ার ছেলে মো: জসিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজবাড়ীতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ হামলার ঘটনায় আহত ছাত্র রাজীব মোল্লা বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
রাজবাড়ী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (২) জানান, আসামিরা এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, নির্ধারিত সময় এর মধ্যে জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হবে। কিন্তু তারা সেই নির্দেশ অমান্য করে আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এজন্য আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।