স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাপুর বাজার। এ বাজারটি বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সরকারী ভাবে ইজারা প্রদান করতে গিয়ে সিন্ডিকেটের কারণে খাস আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় তহশীলদারের মাধ্যমে সরকারী ইজারার অর্থ আদায় করার বিধান থাকলেও তা উপেক্ষা করে একটি মহল প্রভাব বিস্তার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটছে সংঘর্ষ। বালিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি হাটে এ ধরণের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টার সময় বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর হাটে তরমুজ বাজারে এ নিয়ে সংঘর্ষে ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোনাপুর বাজারটি খাস আদায় নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের খবির মন্ডলের ছেলে আরজুল মন্ডল, কদম সহ ১০-১২ জন রামদা, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, কাঠের বাটাম, চাপাটি, লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত ভাবে বেতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আইনউদ্দিন মোল্লার ছেলে শিমুল মোল্লা ও বাবুল মোল্লার উপর হামলা করে। শিমুল মোল্লার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয় ও বারী মেরে জখম করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
আহত অবস্থায় শিমুল মোল্লা ও বাবুল মোল্লাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা শিমুল মোল্লাকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাবুল মোল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত শিমুল মোল্লা বলেন, হাটটি মূলত খাস। শনিবার রাতে সাইদুল ইসলাম শাহীন নিলামে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়ে বিক্রি করতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করলে ৪টি সেকশন বাদ রেখে সকল সেকশন বিক্রি করে। রবিবার হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে কয়েকজন সাধারণ ব্যবসায়ীরা আমার কাছে বলার পর আমি প্রতিবাদ করি। ঠিক তখনই মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের খবির মন্ডলের ছেলে আরজুল মন্ডল, কদম সহ ১০-১২ জন রামদা, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, কাঠের বাটাম, চাপাটি, লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা আমার ভাই বাবুল মোল্লা ঠেকাতে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। আমার ব্যবহৃত স্মার্টফোন ও পকেটে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।