মেহেদী হাসান : টানা ১৪ বছর বন্ধ থাকার পর রাজবাড়ীর সুইমিং পুলের কার্যক্রম আবারো শুরু হচ্ছে। শনিবার জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে ১১ দিনব্যাপী প্রশিক্ষন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সুইমিং পুলটি। জেলা প্রশাসক বলছে, আর যেন পুলটি অচল না হয় সেজন্য তদারকি করা হবে।
জানা গেছে, ২০০২ সালে রাজবাড়ী জেলা শহরের ভবানীপুর এলাকায় পৌনে তিন একর জমির উপর চালু হয় আধুনিক সুযোগ সুবিধার একটি সুইমিং পুল। কিন্তুু তদারকির অভাবে বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থেকেছে এই পূলের কার্যক্রম। সবশেষ ২০০৯ সালের শেষের দিকে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম। আধুনিক সুযোগ সুবিধার এই পুলটি বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পরে এ জেলার সাতারুরা। এমনকি চুরি হয়ে যায় জেনারেটরসহ দামি দামি যন্ত্রাংশ। আনাগোনা বারে মাদক সেবীদের বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরো জানান, নগরায়ন ও অবকাঠামো তৈরির কারনে পুকুরসহ জলাশয়গুলো ভরাট করা হয়েছে। আবার সুইমিংপূলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শাতার শিখতে না পারায় বাড়ছে পানিতে ডুবে মৃত্যর হার। তাই যে কোন মুল্যে রাজবাড়ীর আধুনীক এই সুইমিং পূলটি সারা বছর চালু রাখার দাবি করেছেন তারা।
এদিকে শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে ১১ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের মধ্য দিয়ে আবার যাত্রা শুরু করেছে সুইমিংপুলটি।
প্রশিক্ষনের উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন শুধু প্রশিক্ষণ নয় সারা বছর যাতে এর কার্যক্রম থাকে সেজন্য কাজ করবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহোক কমিটি।
এ সময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি শংকর চন্দ্র বৈদ্য, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মিয়াদুল মাজিদ তুর্য বক্তৃতা করেন।
রাজবাড়ীর সুইমিং পুলটি পুর্নাঙ্গ রূপে চালু হবে আবারও ফিরে আসবে সাঁতারের সোনালী দিন। সেই সঙ্গে রাজবাড়ী থেকে তৈরি হবে, শিউলি আক্তার, মিতানূর, এরশাদুন্নবীর মত সাতারের প্রশিক্ষক । এমনটাই প্রত্যাশা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।